সঞ্জয় রাজবংশী: মিড ডে মিলেও আমরা ওরা। পূর্ব বর্ধমানের কালনা পূর্বস্থলী ১ নম্বর ব্লকের নসরতপুর পঞ্চায়েতের কিশোরগঞ্জ মনমোহনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই বিভেদ স্পষ্ট। হিন্দু ও মুসলিম পড়ুয়াদের জন্য মিড ডে মিলের পৃথক রান্নার ব্যবস্থা। অর্থাত্ শিশু বয়স থেকেই বিভেদ দেগে দেওয়া হচ্ছে শিশুমনে।
ওই স্কুলে হিন্দু পড়য়ারা মুসলিম পড়ুয়াদের সঙ্গে একসঙ্গে বসলেও খাওয়ার সময় তারা আলাদা। প্রায় গো বলয়ের মতো ছবি। এখানে হিন্দু পড়ুয়াদের জন্য রয়েছে হিন্দু রাঁদুনি। অন্যদিকে, মুসলিম পড়ুয়ারা খান মুসলিম রাঁধুনীর হাতের রান্না। রান্না করার জন্য হাতা, খুন্তি থেকে শুরু করে রান্নার আভেন পর্যন্ত আলাদা। দীর্ঘদিন ধরেই এই ব্য়বস্থা চালু রয়েছে।
এমন ব্য়বস্থা নিয়ে কী বলছেন রাঁধুনীরা। তাঁরা বলছেন, আমাদের যেমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তেমনই রান্না করি। এনিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাপস ঘোষ বলেন, আমিও এই বিষয়টি চাই না। এখান দ্বিগুণ খরচ হচ্ছে। আমি স্কুলটার আরও উন্নতি চাই। বাচ্চাদের ভালোভাবে খাওয়াতে চাই। সমস্যা মিটে যাক, আমিও চাই।
আরও পড়ুন-ধারাল অস্ত্র দিয়ে ঘুমন্ত স্বামীর যৌনাঙ্গ কেটে দিল স্ত্রী, ঘটনা শুনে হাড়হিম অন্য ঘরনীর…
আরও পড়ুন-খুনের মামলায় তৃণমূল নেতার মৃত্যুদণ্ড, ১৮ জনের যাবজ্জীবন, রায়ে খুশি হয়ে মিষ্টি বিলি দলেরই নেতার
মিড ডে মিলের এমন ব্যবস্থা নিয়ে কালনার মহকুমা শাসক শুভম আগরওয়াল ফোনে জানান, আজ আমরা এই ঘটনা জানার পরে প্রতিনিধিদের ইন্সপেকশনে পাঠিয়েছিলাম। সেই রকম কিছু পাওয়া যায়নি। তবে এসআই এবং বিডিওদের ক্লিয়ার ইন্সট্রাকশন দেওয়া রয়েছে এই রকম কিছুই করা যাবে না। সকলেই একসঙ্গে রান্না হবে, সকলেই একসঙ্গে খাবে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)